• শিরোনাম

    কলম্বাসের আমেরিকা আবিষ্কার ছিল ইহুদিদের প্রত্যক্ষ মদদে !

    ১১ আগষ্ট ২০২০ ইং 

    ইহুদিদের আবির্ভাব মানব ইতিহাসে একটি তাৎপর্যপূর্ণ অধ্যায়। তাদের নিয়ে সাধারণ মানুষের কৌতূহল ছিল এবং আছে! আজকের আধুনিক বিশ্ব দাঁড়িয়ে আছে অর্থনীতি, সমাজনীতি, রাজনীতি নামক কতিপয় খুঁটির উপর। উক্ত প্রতিটি খুঁটির পেছনে রয়েছে ইহুদিদের অদৃশ্য আধিপত্য!
    আজকে তাদের অদৃশ্য আধিপত্য সম্পর্কেই কিছু লিখতে বসলাম। রোমান সম্রাট কর্তৃক জেরুজালেম থেকে নির্বাসিত হয়ে একটুকরো নিরাপদ ভূমির খোঁজে ২০০০ বছর পর্যন্ত যাযাবরের মতো ঘুরে বেড়িয়েছে এই অভিশপ্ত জাতি। তারা খুব ধূর্ত, কূটকৌশলী, স্বার্থান্বেষী! ইসরাইল প্রতিষ্টিত হওয়ার আগে ছদ্মবেশে তারা বিভিন্ন সাম্রাজ্যের উচ্চপদাধিকারী হয়। অতঃপর সেই সাম্রাজ্য ধ্বংসের কাজে লিপ্ত ছিল বিংশ শতাব্দীর প্রথম ভাগ পর্যন্ত। তাদের বেশিরভাগ সদস্য ছিল ব্যবসায়ী। সাধারণত ধনী ব্যবসায়ীদের শত্রুর অভাব হয়না। একারণে ইহুদিদের শত্রুর অভাব ছিলনা। কেউ যেনো তাদের সম্পত্তি ছিনিয়ে নিতে না পারে, সেজন্য তারা সম্পদের পরিমাণ বা মালিকানা কখনো প্রকাশ করতোনা। বরং একজন বাহকের নামে এর মালিকানা গোপন রাখতো। ইজরাইল প্রতিষ্টিত হওয়ার অনেক অনেক বছর আগে ইহুদিদের সম্পদ জব্দ করা জলদস্যুদের জন্য বৈধ ছিল। তারা পণ্যের উপর নিজের নাম না লিখে “Bearer bill” ব্যবহার করতো। তাই বোঝার কোনো উপায় থাকতোনা কোনটা ইহুদিদের পণ্য আর কোনটা অ-ইহুদিদের। ঠিক আজকের ব্যাংকের চেকেও আমরা
    “বাহককে প্রদেয়” বা “Payable to bearer” শব্দটি ব্যবহার করি তা শত শত বছর আগের ইহুদিদের তৈরী করা কন্সেপ্ট। ইহুদিদের অধিকাংশ সদস্যরা আনুমানিক সপ্তদশ শতাব্দী থেকে জায়োনিজমের জন্ম দেয়। তারা ইহুদিদের জন্য নিজস্ব মতবাদ রচনা করে। আমরা ইতিহাস থেকে জেনেছি আমেরিকা আবিষ্কার করেন ক্রিস্টেফার কলম্বাস। তবে এটা কোনোদিন জানতে চাইনি কাদের সহযোগিতায় তিনি আমেরিকা আবিষ্কার করেছেন। আজ অবধি অধিকাংশ সমুদ্র অভিযান মানুষকে নতুন সব জ্ঞান ও প্রাচুর্যতা এনে দিয়েছে তার অর্ধেকে সম্ভব হয়েছে কেবল ইহুদিদের জন্য। যাযাবর জাতি হওয়ায় পৃথিবীর আনাচে-কানাচে কোথায় কি আছে তা তারা খুব ভালো করে জানে। ১৪৯২ সালের ২ আগস্ট ইহুদিদের তিন লাখ অধিবাসীকে স্পেন থেকে নির্বাসিত করা হয়। ঠিক তারপর দিন ৩ আগস্ট কলম্বাস একদল নাবিককে সঙ্গে নিয়ে পশ্চিমসমুদ্র পথে বেরিয়ে পড়েন। ইহুদিদের সাথে সখ্যতার কথা কলম্বাস নিজের মুখে বহুবার স্বীকার করেছেন। সমুদ্রাভিযানের প্রতি কলম্বাসের এতটা আগ্রহ দেখে রাণী ইসাবেলা নিজের বহু স্বর্ণালঙ্কার তাকে দান করেছিলেন।  সেই দানের অর্থে নির্মিত হয় জাহাজ ক্রয় করা হয় রসদপত্র। তৎকালীন স্পেন সাম্রাজ্যে রানি ইসাবেলার ঘনিষ্ট তিনজন ইহুদি উপদেষ্টা ছিল। মানুষের কল্পনাশক্তি কিভাবে প্রভাবিত করতে হয় সে জ্ঞান তাদের খুব ভালো করেই ছিল। সে সময় স্পেনের অর্থনীতিতে খুব বাজে সময় যাচ্ছিল। অর্থনৈতিক ভারসাম্য ফিরিয়ে আনতে খুব দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া জরুরি হয়ে পড়ে। সেকালে মানুষের মনে একটা ভ্রান্ত ধারণা ছিল তারা বিশ্বাস করতো নতুন কোন ভূমি খোঁজে পেলে হয়তো গুপ্তধন পাওয়া যাবে। মূলত এটি ছিল ইহুদিদের দীর্ঘকালীন প্রোপাগান্ডার ফল। তারা সুকৌশলে রাণীর মগজে এ বিশ্বাসটি ঢুকিয়ে দেন। রানি ভাবেন যদি সত্যি কলম্বাস নতুন কোনো ভূমি খোঁজে পায় তবে অবশ্যই সেখানে অনেক ধন সম্পদ পাওয়া যাবে; যা দিয়ে দেশের অর্থনৈতিক ভারসাম্য ফিরিয়ে আনা সম্ভব। তাই নিজের বহু স্বর্ণালংকার ইহুদিদের নিকট বন্ধক রেখে প্রয়োজনীয় অর্থের ব্যবস্থা করেন। রানির ইহুদী উপদেষ্টা অভিযান শুরুর আগে রানির নিকট অর্থের আবেদন করেন। তাকে ১৭০০০ ইউরোপিয়ান স্বর্ণমুদ্রা দেয়া হয়। যক সম্পূর্ণ অভিযানের খরচের চেয়েও অনেক বেশি। কলম্বাসের সঙ্গী হিসেবে জাহাজে ছিল উচ্চপদস্থ পাঁচজন নাবিক। এই অভিযানের ছুতোয় রানির কাছ থেকে রাণির ইহুদী উপদেষ্টারা বিভিন্ন সুবিধা আদায় করে নেয়। কিন্ত আমেরিকা আবিষ্কারের পর তারাই আবার কলম্বাসকে ষড়যন্ত্রের জালে আটকে ফেলে। উপদেষ্টাদের কথায় শেষ পর্যন্ত রানিও ক্ষেপে উঠেন কলম্বাসের বিরুদ্ধে। কারণ যে কল্পিত গুপ্তধনের লোভে তাকে আমেরিকা পাঠানো হয়েছিল, বাস্তবে তার কিছুই পাওয়া যায়নি। উল্টো পুরো অভিযান আর্থিক ক্ষতির মধ্য দিয়ে শেষ হয়। তাছাড়া রেড-ইন্ডিয়ানদের সাথে স্পেনীয়দের যুদ্ধ তখন চরমে।  শেষমেষ এই বিখ্যাত নাবিকের স্থান হয় জেলখানায়!
    মোস্তফা কামাল
    ইতিহাস বিভাগ (৪র্থ বর্ষ), চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।

    No comments